বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী গোদাগাড়ী উপজেলার নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তির ক্ষেত পরিদর্শন করেন। তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপ পরিচালক (গণ-যোগাযোগ) কৃষিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণার কেন্দ্র রাজশাহীর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ গম গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. ইলিয়াস হোসেন, সরেজমিন গবেষণা বরেন্দ্র কেন্দ্রের প্রধান কৃষিবিদ ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন।
পরিদর্শন কালে বেড প্লান্টারের দ্বারা সারিতে মুগ বীজ বপন করে দেখানো হয়। এছাড়া সংরক্ষণশীল কৃষির বিভিন্ন প্রযুক্তি মাঠে দেখানো হয় এরমধ্যে বিনা চাষে ধান উৎপাদন এবং স্ট্রিপ পদ্ধতিতে ভ’ট্টা চাষ। এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীবৃন্দ বলেন, সংরক্ষনশীল কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার কওে পদ্ধতিতে গম ধান, ভূট্রা ও মুগ চাষ করলে পানি ও সময় কম লাগবে ফলে চাষীদের উৎপাদন খরচ কম হবে এবং কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন। এছাড়া স্ট্রীপ পদ্ধতিতে যে কোন ফসলের ফলন বেশী পাওয়া গেছে। এছাড়া বিজ্ঞানীগণ আরোও বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাওয়ার টিলার যন্ত্রটি দেখা যায় । তাই এই যন্ত্রটির বহুবিধ ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। তাই পাওয়ার টিলার দ্বারা বীজ বপন যন্ত্রটি ব্যবহার করলে একই সাথে জমি তৈরী, বেড তৈলী, সারিতে বীজ বপন , বীজ ডেকে দেওয়া একসাথে করা যায়। ফলে ৫০ ভাগ সময় ও অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী উপস্থিত সকল কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্ট্রীপ পদ্ধতিটি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উপযোগী পদ্ধতি আশা করি আগামী বছরে এই পদ্ধতিতে আপনারা গম ধান,ভূট্রা ও মুগ চাষ করবেন। তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশের জন সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং সেই সাথে কমছে ক্রষি জাম। তাই জনগনের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন অল্প সময়ে বেশী পরিমান খাদ্য উৎপাদন এ জন্য উন্নত বীজ, সার, সেচ পদ্ধতি ব্যবস্থাপনার সাথে উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি অত্যাবশ্যক হিসাবে দেখা দিয়েছে।
মহোদয়ের পরিদর্শনকালে প্রায় ৫০ জন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কৃষক উপস্থিত ছিলেন।